ওয়েব ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা সরেজমিনে দেখেছি চরে কৃষি উৎপাদন খরচ অনেক কম। আবার একই সাথে চরের ফসলের গুণগত মান অনেক ভালো। দুর্গম চরে শুধু ভুট্টা, কুমড়ার বাম্পার ফলনই নয়, চরে এখন কাউন, চিনাসহ অনেক অপ্রধান শস্যও হচ্ছে। যেগুলো দেশের বাইরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চরের কৃষি খুবই সম্ভাবনাময়। দেশের চরাঞ্চল তাই আমাদের সার্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বড় ধরনের প্রভাব রাখতে সক্ষম। কৃষি কাজসহ বিভিন্ন উৎপাদন মুখী কাজের সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে চরের নারীরাও এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ (মঙ্গলবার) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি-কৌশলে চরের অবস্থান শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (বগুড়া) ও সুইস কন্টাক্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত ফারসি প্রকল্প এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স।
মূল প্রবন্ধে ড. আতিউর রহমান বলেন, চরবাসী আর্থসামাজিকভাবে অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখনও পিছিয়ে আছে। চরের মানুষ জীবিকার জন্য এখনও প্রধানত নির্ভর করছেন অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির ওপর।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলের অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। একইসঙ্গে চরবাসীর চাহিদাগুলোকে সামনে আনার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োচিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যায়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন- বগুড়ার পল্লি উন্নয়ন একাডেমি মহাপরিচালক মো. খুরশীদ ইকবাল রোজা, সুইস কন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান সেজান প্রমুখ।